সম্পাদক, ভয়েস অব ফেনী।
ফেনীবাসীর সাথে আর কত তামাশা? টানা এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই ফেনী শহরের প্রধান সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রতিটি এলাকায় হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত! গত কয়েক দিন এই প্রশ্নগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
এক দিন ঠিকমতো বৃষ্টি না হতেই নিচ তলার বাসা গুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে। রাস্তা ঘাটের অবস্থা তো মাশা-আল্লাহ, এত চমৎকার! পানির মধ্যে হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় থাকে না।
২০২৪ সালের বন্যার পর গ্রামের অনেক মানুষ, বিশেষত প্রবাসীদের পরিবার, ভয়ে ও আতঙ্কে শহরে উঠে এসেছে। এখন শহরে আতঙ্ক প্রতিদিন, এভাবে আর কত দিন?
আসুন এক নজরে দেখে নিই, তার পর সিদ্ধান্ত- পৌরসভার ব্যার্থতা বা তামাশা নাকি পৌরবাসীর কর্মফল?
তামাসার কিছুই নাই। আগে শহরবাসী সচেতন হোন। নাগরিক দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করুন।
১/ ড্রেনে আবর্জনা ফেলবেন না।
২/ ড্রেন ভরাট করে নিজের জায়গা বড় করে কোন নির্মান কাজ করবেন না।
৩/ ভবন নির্মানে সিটি করপোরেশন /পৌর অনুমোদিত নকশা ব্যবহার করুন।
৪/ নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে ময়লা ফেলুন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে সহায়তা করুন।
৫/ রাস্তার পাশে বড় ড্রেনের উপর ঢালাই দিয়ে পার্কিং এরিয়া বানানো বন্ধ করুন। এতে ড্রেন পরিস্কারে ব্যাঘাত ঘটে।
৬/ বড় মার্কেট ও বহুতল আবাসিক ভবনের চারপাশে নিজস্ব ব্যবস্হাপনায় ড্রেনের ব্যবস্হা রাখুন।
৭/ খাল সমূহ দখল মুক্ত করতে দলমত বাদ দিয়ে প্রশাসন কে সহযোগিতা করুন।
৮/ দুই বিল্ডিং এর মাঝে খালি জায়গায় টং দোকান বসানো বন্ধ করুন।
৯/ অপচনশীল জিনিস যেমন কাপড়, পলিথিন, প্যাড, ডায়পার ইত্যাদি ড্রেনে ফেলা বন্ধ করুন।
১০/ আবাসিক এলাকার রাস্তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কালভার্টের ব্যবস্হা রাখুন।
১১/ জলাশয় লেক পুকুর ইত্যাদি ভরাট বন্ধ করুন।
১২/ এক জন সু-নাগরিক হোন। জলাবদ্ধতা থাকবে না।