
গ্রাম আদালত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত একটি ক্ষুদ্র বিচারিক ব্যবস্থা, যেখানে ছোটখাটো দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়।
গ্রাম আদালত মোট ৫ সদস্য নিয়ে গঠিত-
১) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (স্বাভাবিকভাবে সভাপতি)।
২) ২ জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (একজন বাদীর পছন্দে, একজন বিবাদীর পছন্দে)।
৩) ২ জন স্থানীয় ব্যক্তি (একজন বাদীর পছন্দে, একজন বিবাদীর পছন্দে)।
কোন ধরনের মামলা গ্রাম আদালতে হয়?
গ্রাম আদালত সাধারণত ছোটখাটো বিরোধ দেখে থাকে, যেমন-
দেওয়ানি বিরোধ, জমির সীমানা নিয়ে ছোটখাটো বিরোধ, পথঘাট নিয়ে বিরোধ, টাকা-পয়সা লেনদেন সম্পর্কিত ক্ষুদ্র দাবিদাওয়া, সম্পত্তি সংক্রান্ত ছোটখাটো বিবাদ, ক্ষতি বা ক্ষতিপূরণ দাবি (সীমা সাধারণত ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে), ফৌজদারি বিরোধ (যা গুরুতর নয়), মারামারি/হালকা আঘাত, গালি গালাজ, হুমকি, সামান্য চুরি বা ক্ষতি, গবাদিপশুর ক্ষতি ইত্যাদি।
যে সব মামলা গ্রাম আদালতে হয় না :
হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, অপহরণ, গুরুতর আঘাত, বড় ধরনের জমি বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ, সাইবার অপরাধ, ৭৫,০০০ টাকার বেশি দাবি দাওয়া, এ ধরনের মামলা থানায় বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যায়।
গ্রাম আদালতের সুবিধা:
দ্রুত বিচার (সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি), খরচ নেই বা খুব কম, স্থানীয় লোকজন দ্বারা সমাধান, আপস-মীমাংসার সুযোগ বেশি।
সাজার ধরন:
ক্ষতিপূরণ আদেশ, জরিমানা, সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ, আপস-মীমাংসা ঘোষণা।
গ্রাম আদালত কারাদণ্ড দিতে পারে না।